বিশ্ব জুড়ে চলছে রাশিয়া উক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কি হচ্ছে এই যুদ্ধে এবং এর ফলাফল কি হতে পারে? নাকি এইবার ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে ? আসুন জেনে নেই, কি হচ্ছে ইউক্রেইন রাশিয়া যুদ্ধে।
ইউক্রেইন রাশিয়ারই অংশ ছিল
১৯৯২ সালেও ইউক্রেইন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিলো। শীতল যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন কে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলে পশ্চিমারা। বিশাল শক্তিশালী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব খর্ব করতে তারা ন্যটো গঠন করে। তবে শর্ত ছিলো তারা ন্যটো কে আর পূর্ব দিকে সম্প্রসারন করে রাশিয়ার নিরাপত্তা কে হুমকির মধ্যে ফেলবে না। কিন্তু ঠিকই তারা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে ইউক্রেইন কে ন্যাটো ভুক্ত করার পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেললো।রাশিয়া বারং বার এর বিরোধিতা করে বলেছে যে তার বর্ডারে ন্যটোর কামান বরদাস্ত করবে না। রাশিয়া তার নিরাপত্তার লিখিত গ্যরান্টি চায়।
ইউক্রেইন সীমান্তে স্মরণ কালের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু ইউক্রেইনের বোকা প্রধান মন্ত্রী পাশ্চাত্তের উস্কানিতে বিভ্রান্ত হয়ে রাশিয়ার সাথে গলাবাজি শুরু করে দেয় এবং ন্যাটোভুক্তির পথে ইউক্রেইন কে নিয়ে যেতে থাকে। জবাবে রাশিয়া প্রথমে ইউক্রেইনের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দানেস্ক এবং লুহানিস্ক কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের সাহায্যের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ইউক্রেইনে অভিজান ঘোষণা করেন।
যুদ্ধ শুরুর ৪৮ ঘন্টায় ইউক্রেইনের হার নিশ্চিত
বেলেরুশ, কৃষ্ণ সাগর এবং রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে এক যোগে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেইনে প্রবেশ করে। ৪৮ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ইউক্রেইনের ৭৪ টি টার্গেট ধ্বংস করে যার মধ্যে ১১ টি এয়ার বেইজ ছিলো। ২য় দিনেই রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করে ফেলে রাশিয়া। এমতবস্থায় ইউক্রেইনের বোকা প্রধান মন্ত্রীর পতন সময়ের ব্যপার মাত্র। এতে কিছু শিক্ষণীয় ব্যপার হোলো
১। আমেরিকার উস্কানিতে কেও অগ্র পশ্চাৎ চিন্তা না করে যদি আমেরিকার ভরসায় যুদ্ধে নেমে পড়ে তবে সে বিপদে নিজেকে একা পাবে।
২। ঋণে জর্জরিত আমেরিকা এখন রাশিয়ার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার সাহস করবেনা।
৩। যতক্ষন পর্যন্ত আপনি ফাইট ব্যক না করবেন পশ্চিমারা আপনার পিঠ দেয়ালে ঠেকাতে থাকবে।
যাই হোক আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়াও পাল্টা নিজের বিশাল আকাশ সীমা ব্রিটিশ বিমানের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। অর্থাৎ রাশিয়া যুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক ভাবেও প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সুতরাং পাশ্চাত্যের প্রত্যক টি পদক্ষেপের জবাব রাশিয়া দেবে।
যদি ইউরোপ রাশিয়া কে স্যংশন দেয় তবে রাশিয়া গ্যসের দাম বৃদ্ধি করে তা পোষাবে অথবা গ্যস সাপ্লাই বন্ধ করে ইউরোপ কে চরম খারাপ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে। অর্থাৎ ইউরোপ গ্যাসের জন্য পুরোপুরি রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল তাই রাশিয়ার সাথে পাঙ্গা নেবে না।
গ্যসের জন্য যেনো রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকতে না হয় সেই কারণে তারা সিরিয়ার উপর দিয়ে কাতারের গ্যস পাইপ লাইন টেনে তুরস্ক সাইপ্রাসের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যস সাপ্লাইএর ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলো কিন্তু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট এই পাইপ লাইন হতে দেন নাই তাই তাকে সরানোর জন্য ব্যপক চেষ্টা চালায় পশ্চিমা এবং ইসরাইলি রা। এবং রাশিয়াও এই কারণে আসাদ কে সাহায্য করে, কারন পাইপ লাইন টি হলে ইউরোপের উপর রাশিয়ার প্রভাব কমে যেতো।
যুদ্ধের ফলাফল
যাই হোক এই যুদ্ধের এখন সম্ভাব্য ২ টি ফলঃ
১। যদি পশ্চিমারা বল প্রয়োগ না করে তবে পৃথিবীর মাতবর হিসেবে রাশিয়া আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাবে। তবে এর জন্য তাকে যুদ্ধ পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটিয়ে বিকল্প অর্থ ব্যবস্থা দাড় করাতে হবে।
২। রাশিয়াকে থামানোর জন্য যদি পশ্চিমা রা বল প্রয়োগ শুরু করে তবে বিশ্ব যুদ্ধ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে।